
ল্যাবরেটরি কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক ধারণা ও প্রক্রিয়া বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
20 Jul, 2025 09:00 AM - 20 Jul, 2025 02:00 PM |
ল্যাবরেটরি কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক ধারণা ও প্রক্রিয়া বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
আন্তর্জাতিক মানের পথে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই বিভাগের গুণগত সেবার যাত্রা শুরু হয়েছে। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবায় ল্যাবরেটরি বিভাগের অবদান আজকের দিনে অপরিহার্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রার শুরু থেকেই বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাদান ও গবেষণার পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে শতভাগ আন্তরিকতা ও গুণগত মান বজায় রেখে অতুলনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে।
ল্যাবরেটরির প্রতিটি ফলাফল যেন নির্ভুল, সময়োচিত ও রোগী-কল্যাণমুখী হয় সেই লক্ষ্যে বিভাগটি দীর্ঘদিন ধরে Internal এবং External Quality Control (IQC & EQC) কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় ISO ১৫১৮৯:২০২২ আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসারে ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশনের প্রস্তুতি। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভাগের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, ল্যাব সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটরদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় একটি মানোন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। আজ রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫ইং তারিখে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার বিষয় ছিল ল্যাবরেটরি কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক ধারণা ও প্রক্রিয়া। মূল বক্তা ছিলেন কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স এক্সপার্ট ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ডা. নায়লা আতিক খান। কর্মশালায় মোট ২৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।
এটি শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ নয়, বরং ল্যাবের প্রতিটি সদস্যের মানোন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে এ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে বিভাগটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রম বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর ল্যাবরেটরি সেবার উন্নয়নে একটি মডেল তৈরি করবে এবং রোগীদের আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও মানবিক সেবা নিশ্চিত করবে। এই পথচলা কেবল একটি মানপত্রের জন্য নয়, এটি গুণগত পরিবর্তনেরও প্রতিশ্রুতি।
তথ্যসূত্র: ডা. জেবা উন নাহার, সহযোগী অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্পাদনায়: ডা. সাইফুল আজম রঞ্জু ও প্রশান্ত মজুমদার।